এক দশকের মধ্যে গৃহস্থালির ৪০ শতাংশ কাজই করবে রোবট


বর্তমানে আমাদের দৈনন্দিন বহু কাজেই সহযোগিতা করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) যন্ত্র বা রোবট। আগামী এক দশকের মধ্যে ঘর-গৃহস্থালির প্রায় ৪০ শতাংশ কাজই করে দেবে এসব যন্ত্র। এমনটাই মনে করছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।

সম্প্রতি বড় ধরনের একটি জরিপ চালিয়েছেন যুক্তরাজ্য ও জাপানের ৬৫ জন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশেষজ্ঞ। আগামী দিনগুলোতে মানুষের দৈনন্দিন ঘর-গৃহস্থালির কাজে অটোমেশন তথা স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির কতটা প্রভাব পড়বে সেটাই উঠে এসেছে ওই জরিপে।

জরিপে অংশগ্রহণকারীদের কাছে ঘরের ১৭টি কাজের কথা উল্লেখ করা হয়। সেই সঙ্গে ওই কাজগুলো রোবটকে দিয়ে করানো কতটা সহজ হবে এবং এতে আগামী ১০ বছরে কতটা সময় সাশ্রয় হবে তা মূল্যায়ন করতে বলা হয়।

জরিপে ফলাফলের ভিত্তিতে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনাকাটার মতো কাজগুলোতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা রোবট ব্যবহার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে শিশু ও বয়স্কদের যত্ন নেয়ার ক্ষেত্রে এর প্রভাব থাকবে সবচেয়ে কম।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও জাপানের ওচানোমিজু বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা জরিপটি পরিচালনা করেছেন। গবেষণা প্রতিবেদনটি সম্প্রতি পিএলওএস ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন মতে, ঘরের কাজের জন্য বিশ্বে সর্বাধিক উৎপাদিত ও বিক্রীত পণ্য ভ্যাকুয়াম ক্লিনার রোবট।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যন্ত্র ব্যবহারে কতটুকু সময় সাশ্রয় হবে, এ ব্যাপারে অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউটের পিএইচডি গবেষক লুলু শি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনাকাটায় প্রযুক্তি ৬০ শতাংশ সময় বাঁচিয়ে দেবে। এটি দ্রুত ব্যবহারের মাত্রা বাড়তে পারে। তবে শিশু ও বয়স্কদের যত্ন নেয়ার কাজে রোবটের ব্যবহার ২৮ শতাংশ পর্যন্ত হওয়ার সম্ভবনা আছে।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, আগামী ১০ বছরে ঘরের কাজ থেকে মানুষকে মুক্তি দেবে রোবট, এমন পূর্বাভাস ইতোমধ্যে দেখা যাচ্ছে। তবে এটি নিয়ে বেশ কিছু সংশয়ের জায়গাও আছে। প্রযুক্তির যে উৎকর্ষ লক্ষ করা যাচ্ছে, তাতে মানুষকে বিশ্রাম দেয়ার ক্ষেত্রে এ প্রযুক্তি দ্রুত কার্যকর হতে পারে। 


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *