চাকরি দিচ্ছে শতাধিক কোম্পানি বেসিস সফটএক্সপোতে


রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বেসিস সফটএক্সপোতে চাকরির মেলার আয়োজন করে বিডি জবস অ্যাসোসিয়েশন।

রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ প্রদর্শনী। ‘ওয়েলকাম টু স্মার্টভার্স’ স্লোগানকে সামনে রেখে প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের জাতীয় বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)।

বিডি জবসের জব ফেয়ারের কনভেনার মোহাম্মদ আলী ফিরোজ বলেন, ‘শতাধিক কোম্পানি এখানে হাজির হয়েছে। তরুণ-তরুণীদের ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘চাকরিপ্রত্যাশীরা প্রথমে মেলায় প্রবেশ করে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে বিগ টেন্টে প্রবেশ করেন। তারপর সেখানে নিজেদের পছন্দমতো কোম্পানিতে গিয়ে কিউআর কোড স্ক্যান করে পছন্দের ক্যাটাগরিতে আবেদন করতে পারছেন।

‘ওয়েলকাম টু স্মার্টভার্স’

প্রযুক্তি সেবার প্রাণ বলা হয় ডেভেলপারদের। তারা সেবাগুলো সচল রাখতে, সেগুলো উন্নত করতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ভুল হবে এবং সেটা থেকে আরও শিক্ষা নিয়ে নিজেদের উন্নত করার পরামর্শ দিয়েছেন খাতটির কর্মীরা।

স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে দেশের তরুণ সফটওয়্যার ডেভেলপারদের অনুপ্রাণিত করতে এবং তাদের কাজ করার সময় যেসব সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে, সেগুলো নিয়ে সম্মেলনটিতে আলোচনা হয়। তরুণ ডেভেলপারদের বিভিন্ন  দিক-নির্দেশনা দেন দেশের শীর্ষ নামিদামি সফটওয়্যার ডেভেলপারস প্রতিষ্ঠানের সফল প্রোগ্রামার ও সফটওয়্যার প্রফেশনালরা।

যান্ত্রিকের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বিভাগের টিম লিডার শুভ্র পাল কথা বলেন এআই নিয়ে। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত এআই বলা হচ্ছে চ্যাটজিপিটিকে। চ্যাটজিপিটি কীভাবে কাজ করে সেটা বোঝা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যারা ব্যবহার করেছেন তারা বুঝতে পারবেন এটি কীভাবে কাজ করছে। একটা বিষয় খেয়াল করবেন, প্রথমবার তাকে যে বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়, সেটার হয়তো শতভাগ সম্পর্কিত কিছু জানাতে পারে না। কিন্তু পরেরবার যদি তাকে সে সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয় তাহলে দেখা যায় আরও বেশি উত্তর দিতে পারে। অর্থাৎ এই সময়ের মধ্যে সে সম্পর্কে ইন্টারনেটে যত ফ্রুটপ্রিন্ট রয়েছে, তার প্রায় সবই তাকে শেখানো হয়। ফলে তার ক্ষেত্রে সেটি পরে সঠিকভাবে কাজ করতে পারে।

এছাড়াও আলোচনায় তিনি চ্যাটজিপিটি বিবর্তনের ধারায় কীভাবে আজকের পর্যায়ে এসেছে, যেমন প্রযুক্তিটির প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপে কীভাবে ডেভেলপ করা হয়েছে, কোন কোডিং ব্যবহার করা হয়েছে, কি কি সুবিধা-অসুবিধা রয়েছে, এসব বিষয় তুলে ধরেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *