যুদ্ধের বর্ষপূর্তি : সেনাদের সম্মান জানাল ইউক্রেন, লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার


রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে প্রাণ হারানো সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ইউক্রেনীয়রা। যুদ্ধের এক বছর পূর্তিতে ‘বীর সেনাদের’ বিভিন্ন পদকের মাধ্যমে সম্মান জানানোর পাশাপাশি রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জয়ী না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন তারা। খবর রয়টার্সের।

গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশ ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে রুশ বাহিনী।

যুদ্ধের বর্ষপূর্তিতে আজ শুক্রবার কিয়েভের সেন্ট সোফিয়া স্কয়ারে একটি অনুষ্ঠানে দেশটির সামরিক বাহিনীর সদস্যদের বিভিন্ন পদকে ভূষিত করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। যুদ্ধে প্রাণ হারানো সেনাদের পক্ষে তাদের পরিবারের সদস্যরা পদক গ্রহণ করেন।

এ সময় জেলেনস্কি বলেন,‘আমরা এখন এক পরিবারে পরিণত হয়েছি। আমাদের মাঝে এখন আর কেউ অপরিচিত নেই। ইউক্রেনীয়রাই ইউক্রেনীয়দের আশ্রয়দাতা। যারা যুদ্ধ থেকে বাঁচতে পালাতে বাধ্য হয়েছেন তাদের জন্য ঘর ও হৃদয় খুলে দিয়েছেন তারা।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সব হুমকি, গোলাবর্ষণ, ক্লাস্টার বোমা, ক্রুজ মিসাইল, কামিকাজি ড্রোন, ব্ল্যাকআউট ও ঠান্ডা প্রতিহত করেছি। এ বছর বিজয় অর্জনের জন্য আমরা সবকিছু করব।’

আজ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও জি৭ ভুক্ত দেশের নেতাদের সঙ্গে অনলাইন একটি সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে জেলেনস্কির। এ সম্মেলনে তারা ইউক্রেনকে আরও সহায়তা এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে যুদ্ধের বর্ষপূর্তিতে বিশ্বজুড়ে ইউক্রেনের মিত্ররা দেশটির প্রতি তাদের সমর্থন প্রদর্শন করেছেন। এদিন ইউক্রেনের হলুদ ও নীল পতাকার রঙে আলোকিত হয়েছে আইফেল টাওয়ার, ব্র্যান্ডেনবার্গ গেট, এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং ও সিডনি অপেরা হাউস। এ ছাড়া লন্ডনের রুশ দূতাবাসের বাইরের সড়কে আঁকা হয়েছে বিশাল ইউক্রেনীয় পতাকা।

তবে ইউক্রেন যুদ্ধের বর্ষপূর্তি উদযাপনে তেমন কোনো সরকারি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেনি মস্কো। গতকাল বৃহস্পতিবার বার্ষিক ‘ডিফেন্ডার অব দ্য ফাদারল্যান্ড ডে’ উপলক্ষে আতশবাজি ফুটিয়েছিল রাশিয়া। এ ছাড়া গত বুধবার একটি পপ কনসার্টের আয়োজন করা হয়, যেখানে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন উপস্থিত ছিলেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *