উজিরপুরের লাল শাপলা সৌন্দর্য বিলিয়ে এখন সবজি হিসেবে জনপ্রিয়


সরদার সোহেল, উজিরপুর : উজিরপুরের সাতলা হারতার বিলের  লাল শাপলা সৌন্দর্যের পাশাপাশি  এখন খাবারের  মেনুতে সবজি হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বর্ষা মৌশুমের শেষের দিকে উজিরপুরের  বিলের বিশাল  জলমগ্ন এলাকায় প্রাকৃতিক ভাবে জন্মানো লাল শাপলা ভ্রমন পিপাসুদের কাছে সৌন্দর্য বিলিয়ে এখন  বরিশালের গ্রামগঞ্জের হাট বাজার শহরের বিভিন্ন  অলিগলিতে নিয়মিত সবজি হিসবে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

রীতিমতো বানিজ‍্যিক ভাবে শাপলা তুলে বিক্রির মাধ্যম ক্ষুদ্র  মৌসুমী ব‍্যবসায়ীরা জিবিকা নির্বাহের কথা জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

সাদা শাপলা বাংলাদেশের জাতীয় ফুল এবং সাদা শাপলা সবজি হিসেবে খাওয়ার প্রচলন প্রাচীন কাল থেকে শুরু হয়েছে। চাষাবাদ ছাড়া  প্রাকৃতিক ভাবে জন্মানো শাপলা দূর্ভিক্ষের সময় পরিপুরক  খাদ্য হিসেবে মানুষের জিবন বাচাতে সাহায্য করে। বহুবীধ ঔষধি গুনে সমৃদ্ধ শাপলা গ্রামাঞ্চলে সাধারন মানুষের কাছে পরিচিত ।

বসন্তের কালের প্রথম থেকেই জলমগ্ন পুকুর ডোবা বিলের পানিতে জন্ম নিতে শুরু করে পুরো বর্ষা মৌসুমে শাপলার ফুল ফোটে কিন্তু  লাল শাপলা বর্ষা মৌসুমের শেষে শরৎকাল পর্যন্ত ফুল ফুটতে দেখা যায়। তাই সাদা শাপলা শেষ হবার পরেও লাল শাপলা টিকে থাকায় এখন নিয়মিত খাবারের তালিকায় সবজিতে লাল শাপলার কদর বেড়ে গেছে।

উজিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কপিল বিশ্বাস বলেন ক‍্যালসিয়াম জিংক আয়রন সোডিয়াম  লাল ও সাদা শাপলায় সমান গুনে সমৃদ্ধ বর্ষা মৌসুমে শাপলা বেশি দেখা গেলেও সাড়া বছরই বিভিন্ন ধরনে শাপলা পানিতে জন্মায় তবে উজিরপুরের নিন্মাঞ্চলে প্রাকৃতিক ভাবে প্রচুর পরিমানে সাদা শাপলা পাশাপাশি লাল শাপলা জন্মনিতে দেখা যায়। মৌসুমে লাল শাপলার বিলে   নিয়মিত দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য দেখতে পর্যটকদের আনাগোনায় মুখরিত থাকে। তবে বিস্তৃত ভুমিতে জন্মানো লাল শাপলার আবাদ গতো কয়েক বছরের তুলনায় কমে গেছে কারন স্থানীয়রা ভুমিতে এখন ঘের কেটে মাছ চাষ করছে ফলে ওই সব ভুমিতে শাপলা জন্মায় না এবং  অবাধে শাপলা নিধন করা হচ্ছে  বিলুপ্ত প্রজাতির লাল শাপলা ওই অঞ্চলের প্রাকৃতিক  সৌন্দর্য রক্ষা করার জন্য পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।

নিয়মিত শাপলা বিক্রেতা আবুল হোসেন বলেন সাদা শাপলা শেষ হবার এখন লাল শাপলা আছে তাই বাজারে তুলনামূলক ভাবে অন‍্য সবজির চেয়ে দামে সাশ্রয়ী হবার কারনে চাহিদা বেশি। বর্ষা মৌসুমের বছরের এই তিন মাস শাপলা আহরন ও বিক্রি করে লাভবান হয়ে জীবিকা নির্বাহ করা যায়।

এলাকাবাসির দাবি প্রভাবশালীদের অপরিকল্পিত মৎস ঘের নির্মান বন্ধ করে ও অবাধে শাপলা বিনষ্ট বন্ধ করে সাতলা হারতা ইউনিয়নের সৌন্দর্য রক্ষা করার দাবি জানান।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *