হার্ড লাইলে মেলোনি!
পলাশ রহমান
ইতালির আইন শৃংক্ষলার ব্যাপক অবনতি হয়েছে। চুরি, ছিনতাই, মারামারি, মাদকসহ পতিতাবৃত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা এতটাই অবনতিতে পৌঁছেছে যে, তা এখন খুন খারাবি পর্যন্ত গড়িয়েছে। কোনো কোনো জায়গায় অপরাধীদের দ্বারা আইন শৃংক্ষলা রক্ষাকারীরাও আক্রমনের শিকার হয়েছেন।
স্থানীয় নাগরিকরা প্রায়ই অভিযোগ করেন, সন্ধার পর তারা শহরের অনেক রাস্তা দিয়ে হাটতেও ভয় পান।
আইন শৃংক্ষলা অবনতির জন্য মোটা দাগে অভিবাসীদের দিকে আঙ্গুল তোলা হয়। অভিযোগের নিরপেক্ষতা তুলে ধরার জন্য নির্দিষ্ট অনেক অপরাধ সামনে আনা হয়।
প্রধানমন্ত্রী যর্জা মেলোনির ডানপন্থী সরকার একটি নতুন আইন তৈরীর মাধ্যমে, অপরাধি অভিবাসীদের নিয়ন্ত্রনের উদ্যোগ নিয়েছে। তারা বিশেষ করে অবৈধ অভিবাসীদের বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে।
আইনের খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, যারা নির্দিষ্ট কিছু অপরাধে জড়াবে এবং অবৈধ ভাবে ইতালিতে বসবাস করবে তাদের জেল জরিমানাসহ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
সব ঠিক থাকলে সেপ্টেম্বর মাস থেকে নতুন আইন প্রয়োগ শুরু করা হবে।
ইতালিতে দীর্ঘ দিন যাবত বাংলাদেশি কম্যুনিটির সুনাম থাকলেও হালে বাংলাদেশিদের একটা অংশ নানা রকমের অপরাধে জড়িয়েছে। মাদক ব্যবসা, আমদানি, ধর্ষণ, মারামারি, ঘর ভাড়া, দোকান ভাড়া পরিশোধ না করাসহ নানা অপরাধে জড়ানোর কারণে ইতালিয় প্রশাসনের কাছে বাংলাদেশিদের সুনাম এখন অনেকটা মলিন।
সুতরাং সবাইকে সাবধানতার মধ্যে চলাফেরা করা উচিত। বিশেষ করে যাদের স্থানীয় ডকুমেন্ট নেই, তাদের উচিত স্পর্শকাতর এলাকাগুলো এভয়েড করা এবং ডকুমেন্টের জন্য যে কোনো একটি আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকা। অপরাধমূলক কাজ এড়িয়ে চলা।
পলাশ রহমান
অভিবাসী সাংবাদিক
ভেনিস, ইতালি