বগুড়ায় শতকোটি টাকার বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে দুদকে মামলা
বগুড়ার প্রত্যন্ত গ্রামে শতকোটি টাকা ব্যয়ে বাড়ি বানিয়ে আলোচনায় আসা সাখওয়াত হোসেনের (৬৫) বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) মামলা হয়েছে। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৯ কোটি ৩২ লাখ ১৩ হাজার ৮৬১ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করার অভিযোগে এ মামলা হয়।
আজ রোববার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় বগুড়ার সহকারী পরিচালক কামরুজ্জামান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। অভিযুক্ত সাখওয়াত বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার দেউলি গ্রামের বাসিন্দা। নিজ গ্রামে শ্বেতপাথর দিয়ে প্রাসাদের মতো বাড়ি বানিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। যদিও ওই বাড়িতে পাহারাদার ছাড়া কেউ থাকেন না। তিনি সপরিবার ঢাকায় বসবাস করেন।
অভিযুক্ত সাখওয়াত বগুড়ার এএইচজেডি অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ, রাজধানীর ধানমন্ডিতে অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, গাজীপুরে টাটকা ফুড প্রোডাকশন ফ্যাক্টরি, এএইচজেড কোল্ড স্টোরেজ, ইটভাটা এবং এএইচজেড ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান।
দুদকের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলার নথি এখনো দুদক থেকে আদালতে আসেনি। নথি আদালতে আসার পরপরই আইনগত প্রক্রিয়া শুরু হবে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য পেয়ে সাখওয়াত হোসেনকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য নোটিশ দেওয়া হলে ২০১৮ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দুদকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন তিনি। বিবরণীতে দেখা যায়, তাঁর স্থাবর-অস্থাবর মিলে সম্পদের পরিমাণ ১৮ কোটি ৫৭ লাখ ৫৭ হাজার ৮৩৭ টাকা। কিন্তু যাচাইকালে তাঁর স্থাবর-অস্থাবরসহ মোট গ্রহণযোগ্য সম্পদ পাওয়া যায় ৯ কোটি ২৫ লাখ ৪৩ হাজার ৯৬৭ টাকার। অর্থাৎ জ্ঞাত আয়বহির্ভূতভাবে ৯ কোটি ৩২ লাখ ১৩ হাজার ৮৬১ টাকার অবৈধ সম্পদ ভোগদখলে রেখেছেন সাখওয়াত। অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করায় দুদক আইন-২০০৪ সালের ২৭-এর (১) ধারায় সাখওয়াতের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
এর আগে ২০১৮ সালে ঢাকার মতিঝিল থানায় রূপালী ব্যাংকের দিলকুশা শাখা থেকে ৯৩ কোটি টাকা ঋণখেলাপির অভিযোগে সাখওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম পৃথক একটি মামলা করেছিলেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে তিনি কারাগারে ছিলেন কয়েক দিন।