প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন
এম,এ হক
দিল্লীর আধিপত্যের বিরুদ্ধে ভাটি বাংলার সংগ্রাম, বীরত্ব ও বিজয়ের প্রতীক একডালা দুর্গ। দিল্লীর সুলতান ফিরোজ শাহ তুঘলক ১৩৫৩ সালে বাংলা আক্রমন করলে স্বাধীন সুলতানী বাংলার প্রতিষ্ঠাতা সুলতান শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ ও তাঁর পুত্র সিকান্দার শাহ একডালা দুর্গে অবস্থান নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। বাংলার স্বাধীনতা দিল্লীর নিকট থেকে পরবর্তী প্রায় দুশো বছরের জন্য নিরাপদ করতে পেরেছিলেন।
একডালা দুর্গের অবস্থান নিয়ে ঐতিহাসিকগনের মাঝে মতভেদ রয়েছে। হেনরী বেভারিজের মতে এটি ঢাকা জেলার কোনো স্থানে অবস্থিত ছিলো। সম্প্রতি কাপাসিয়ার দরদরিয়াতে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে প্রত্নতাত্ত্বিক খননে একটি দুর্গ প্রাচীর ও বুরুজ আবিষ্কৃত হয়েছে। এছাড়া পাওয়া গেছে গ্লেজড পটারী যা বাংলার মধ্যযুগের সিগনেচার প্রত্নবস্তু।
প্রাপ্ত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ও ঐতিহাসিক বিবরণীর ভিত্তিতে গবেষকগণ কাপাসিয়ার দরদরিয়া গ্রামে আবিষ্কৃত এই দুর্গটিকে মধ্যযুগের সেই একডালা দুর্গ হিসেবে শনাক্ত করেছেন।
অভিনন্দন, গবেষণা দলের সকল প্রত্নতাত্ত্বিকদের।