ক্যাসিনো সাঈদের আরেক কাণ্ড, যুব হকি দলের ভারত সফর বাতিল


এ কে এম মুমিনুল হক। ‘ক্যাসিনো সাঈদ’ নামেই তিনি বেশি পরিচিতফাইল ছবি: প্রথম আলো

আগামী ২৩ মে ওমানে শুরু হবে এএইচএফ কাপ অনূর্ধ্ব-২১ চ্যাম্পিয়নশিপের চূড়ান্ত পর্ব। এই টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি হিসেবে ভারতে ২৮ দিনের কন্ডিশনিং ক্যাম্প করার পরিকল্পনা ছিল বাংলাদেশ হকি দলের। ভারতে যাওয়ার জন্য খেলোয়াড়, কোচ ও কর্মকর্তা মিলিয়ে ৩৩ জনের জিও (সরকারি আদেশ) নিয়েছে হকি ফেডারেশন। কিন্তু বিস্ময়কর এক কারণে শেষ পর্যন্ত ক্যাম্পটাই বাতিল হয়ে গেছে।

জিওর আবেদনের তালিকায় ‘পর্যবেক্ষক’ হিসেবে নাম আছে হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ক্যাসিনো–কাণ্ডে আলোচিত এ কে এম মমিনুল হক সাঈদের স্ত্রী এবং দুই সন্তানের। খেলোয়াড়দের কন্ডিশনিং ক্যাম্পে কেন পর্যবেক্ষক হিসেবে যাবেন সাধারণ সম্পাদকের পরিবারের সদস্যরা, এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ফেডারেশনেই। তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে সফরই বাতিল করে দিয়েছেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক। এমনকি বন্ধ হয়ে যাওয়ার শঙ্কা আছে হকি দলের অনুশীলন ক্যাম্পও।

যুব হকি দলের ভারত সফরই বাতিল করে দিয়েছেন মমিনুল হক সাঈদ
যুব হকি দলের ভারত সফরই বাতিল করে দিয়েছেন মমিনুল হক সাঈদ

রোববার এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘নিজের টাকায় আমি দলের ক্যাম্প চালাচ্ছি ও ভারতে দল পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছিলাম। ভারত যাওয়ার জন্য দলের জিওতে আমার পরিবারের কয়েকজনের নাম আছে। এ নিয়ে সমালোচনা হওয়ায় আমি কষ্ট পেয়েছি। আমার পরিবার ছোট হয়েছে। যে কারণে, দলকে ভারত পাঠাতে চাচ্ছি না।’

সঙ্গে যোগ করেন, ‘১২ এপ্রিল দলের ভারত যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখন দলের ক্যাম্পও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কারণ, আমি এটার পৃষ্ঠপোষকতা করছিলাম, এখন আর করব না।’ যুব দলের অনুশীলনের বিকল্প কোনো পরিকল্পনাও রাখছেন না ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবারও বলেন, ‘সে রকম কোনো পরিকল্পনা নেই। ক্যাম্প বন্ধও হয়ে যেতে পারে।’

ভারতের হরিয়ানা ও জলন্ধরে কন্ডিশনিং ক্যাম্প চলাকালে বাংলাদেশ যুব হকি দল বিভিন্ন রাজ্য দলের বিপক্ষে ১৫-২০টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেত। সফর বাতিল হয়ে যাওয়ায় খেলোয়াড়েরা সেই সুযোগ হারাচ্ছেন। এএইচএফ কাপের আগে ভারতের এই সফর নিয়ে খুব আশাবাদী ছিলেন তাঁরা। স্বাভাবিকভাবেই দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত আর ক্যাম্প বন্ধ হয়ে যাওয়ার শঙ্কায় হতাশা নেমে এসেছে খেলোয়াড়দের মধ্যে।

ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের এমন সিদ্ধান্তে হতাশ কার্যনির্বাহী কমিটির অনেক কর্মকর্তাই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বললেন, ‘এটা ওনার অপরিপক্ব সিদ্ধান্ত। ওখানে গেলে দলের অনেক উন্নতি হতো। ঢাকায় যে অনুশীলন করেছে সেটার একটা সুফল পেত ভারতে।’


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *