ইলিয়ডের স্রষ্টা
এম,এ হক
ছবিটা গ্রীক মহাকবি হোমারের (প্রতিকৃতি)।
কারো কারো মতে জন্ম বর্তমান তুরস্কের ইজমিরে,খ্রীষ্ট পূর্ব ৮ম শতাব্দীতে। ছিলেন জন্মান্ধ,ভিক্ষাবৃত্তি ছিলো পেশা।
অবিস্মরণীয় স্মৃতি শক্তি,কাব্যিক রস আর তৎক্ষনাৎ ছন্দ মিলিয়ে কবিতা বলার ক্ষেত্রে তার ছিল অনন্য প্রতিভা।
খ্রীষ্ট পূর্ব ১২ শ শতাব্দীর দিকে গ্রীক রাণী সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠা সুন্দরী রমনী হেলেনের কারণে সংঘটিত যুদ্ধে ট্রয় নগরী ধ্বংস নিয়ে তার মুখে মুখে বলা ঘটনা,গ্রীক লিপিতে, চামড়া, প্যাপিরাস প্রভৃতিতে লিখে সংরক্ষণ করা হয়েছিল। সে মহাকাব্যের নাম “ইলিয়াড” যাতে আছে প্রায় ১৬ হাজার পংক্তি।
পরবর্তীতে আজ পর্যন্ত প্রায় ৩২০০ শত বছর ধরে প্রেম ভালবাসা,যুদ্ধবিগ্রহ, মানবিকতা, রাজনীতসিহ অন্য অনেক ক্ষেত্রে প্রাশ্চাত্য লেখক সহ বিশ্বের অনেকের রচনায় ইলিয়াডের ছায়া রয়েছে।
ইলিয়াডের বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে বিশ্বব্যাপী কত চলচিত্র-নাটক লেখা হয়েছে তার ইয়াত্তা নেই।
মহাকাব্যের একটা চরিত্র হেলেনের প্রেমিক প্যারিস। প্যারিসের জন্ম এবং বেড়ে উঠার সাথে নবী মুসা (আঃ) এর জীবনের কিছুটা মিল রয়েছে। কিছু মিল আছে রাবণের সীতা অপহরণ সহ রামায়ণের সাথেও।
ট্রয় যুদ্ধ শেষে বিজয়ীরা সমুদ্র পথে গ্রীকে ফেরার সময় এক নাবিক দিক হারিয়ে তার সঙ্গী সহ সাগরে বারংবার দুর্বিসহ বিপদে পতিত হয়েছিল। সে কাহিনী নিয়ে মহাকবি হোমারের আরেক সৃষ্টি ” ওডিসি “।
আরব্য উপন্যাস বা আলিফ লায়লায় বর্ণিত নাবিক সিন্দবাদ বলতে গেলে সে ওডিসিরই আরেক রূপ। ওডিসি নিয়ে ও নাটক,সিনেমা কম হয়নি।
লালন ফকির,হাসান রাজারাও মুখে মুখে কবিতা
বলতেন গান গাইতেন। এদেশের পথে ঘাটে বিভিন্ন স্থানে অনেক প্রতিভা রয়েছে । এ ধরনের প্রতিভা একান্তই স্রষ্টা প্রদত্ত। ইহকাল,পরকালের সব কিছু সহ সম্পূর্ণ সৃষ্টিই যে মহান স্রষ্টার।