আসলাম,দেখলাম, দেখছি, ভাবছি–


বন্ধু শুভ্রর পোস্ট থেকে সংকলিতঃ

১৯৭৫ সালের ১৪ই আগস্ট রাত ১০ ঘটিকা। ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি হেডকোয়ার্টারের আর্টিলারি গোডাউন হতে অস্ত্র, গোলা- বারুদ লুট করতে কর্নেল ফারুক তার অপতৎপরতা চালাতে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে গোলা বিহীন ট্যাংক গুলোকে এমনভাবে ঢাকার আবাসিক এলাকার দিকে ধাবিত করে, যেনো তার নিজস্ব লোকেরা বুঝতে না পারে।

পরবর্তীতে বর্তমান সামরিক জাদুঘর প্রাঙ্গনে সমবেত সৈনিকদের অভিযানের কথা বলতে গিয়ে সে একটি রক্তপাতহীন সামরিক ক্যু করবার অভিপ্রায় ব্যক্ত করে ২য় বার তার অধীনস্থ সৈনিকদের প্রতারিত করে – এদেশের ইতিহাসের কলংকৃত এক অধ্যায়ের সূচনা করে।

বিচ্ছিন্ন এ ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর দেশের আপামর বাঙালির স্তব্ধ হয়ে যাওয়া কষ্টকর হলেও তখন সেটাই ছিলো স্বাভাবিক।

বাঙালির রক্ত সেই হতে প্রতারণা জালিয়াতির বীজ বহন করে দেশের বিভিন্ন স্হানে সম্মানিত নাগরিক ও দেশপ্রেমিক বাঙালির উপর অমানবিক হিংস্র আচরন করে চলেছে।

যুগের এ ধারা নেতিবাচক ঘটনা সমূহকে যেমন স্তব্ধ করতে পারেনি,তেমনিভাবে ১৯৭৫ এ-র অস্বাভাবিক, অপ্রকৃতিস্থ কিছু পশুর হিংস্রতা দেরীতে হলেও সমগ্র বিশ্বকে তাদের প্রাপ্ত বিচারের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছে- বিচ্ছিন্ন হিংস্র আচরন এ-র প্রভাব স্থায়ী হয় না।

আমাদের মুকসুদপুর উপজেলায় সংঘটিত বিচ্ছিন্ন হিংস্র কার্যক্রম এ-র দ্বারা অত্র এলাকার সাধারণ মানুষের জীবন যাপন কে যে এবং যারা অস্বাভাবিকতার রূপ দিয়েছে- তাদের পরিচয়,প্রকৃতি, প্রতারণা জালিয়াতির বীজ বহন করার ধরন স্হানীয় জনগনের নিকট আজ পরিস্কার হয়ে গিয়েছে।

ইসলামের লেবাসধারী এক আজন্ম প্রতারক তার শেষ বয়সের অস্বাভাবিক নিম্ন মানসিকতার প্রয়োগ করে এক দল আজন্ম অপরাধী পরিবারের সদস্যদের দিয়ে একটার পর একটা অপরাধ সংঘটিত করে যাচ্ছে।

# মুকসুদপুর উপজেলার সাধারণ জনগন হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে রাতের অন্ধকারে কারো বাড়ির জানালার গ্রীলে ভেঙে এক যুবকের জীবন কেড়ে নেওয়ার মাধ্যমে একটি পরিবারের সবুজ স্বপ্ন কে নস্যাত করে নিজেরাই নিজেদের বাড়িতে ভাংচুর চালায়। সেসব বাড়ি হতে পূর্বেই মূল্যবান সামগ্রী অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে দৃশ্যমান স্থাবর কিছু ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ক্ষোভ মেটানোর জন্য পরিকল্পিত এক অসভ্য নাটকের জন্ম দিয়ে ব্যবসায়িক ২/১ টি ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার ও ডিজিটাল যুগের ডিজিটাল সফটওয়্যার ব্যবহার করে অতিরঞ্জিত কিছু ভিডিও ফুটেজ তৈরী করে * পুনরায় বাঙালির অনুভূতিতে প্রতারণার মাধ্যমে বোকা বাঙালির পরিচয় করিয়ে – ইসলামের লেবাসধারী তার পূর্বজদের ব্যর্থতাকে সফলতার রূপ দিতে শত সহস্র মিথ্যার যোগান দিয়েই যাইতেছে।

অবশেষে সহায় সম্বলহীন বেকার মাদকাসক্ত কিছু সমাজবর্জিত অপরাধী দিয়ে যে কুকর্মের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে সকল মিথ্যার প্রচার করে চলেছে –

*** আমাকে এক ভয়ানক চিন্তায় আবর্তিত করে ফেলিয়াছে —–

“- বৃহৎ ফেরাউন আসবে না বলেই কি ক্ষুদ্র এ-ই ক্ষুদ্র ফেরাউন পৃথিবীতে আগমন করলো, আর করলো তো করলো – আরব ছেড়ে বাঙলার এ গ্রাম্য পরিবেশকে

ভুলুন্ঠিত করতে ফেরাউনের নামের প্রথম আদ্যাক্ষর ” ফ দিয়েই একটি পরিত্যাজ্য নামের এক ইসলামের লেবাসধারী “—-

আর কতোগুলো অমাণবিক হিংস্র ঘটনা ঘটিলে এ সমাজ ঐ নব্য ফেরাউনের পিঠের ছাল ছাড়িয়ে দিতে ঐক্যবদ্ধ হবে, এ প্রশ্ন আমার উপজেলাবাসী ও দেশের বুদ্ধিজীবী মহলের নিকট—-

এরাই কিন্তু আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এ স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিকে পরাস্ত করতে বর্তমান সরকারী প্রশাসন,হাসপাতাল, কোর্ট- কাচারি সমূহকে অর্থের প্রলোভনে অভ্যস্ত করে দিচ্ছে যেনো!

এ আমার অনুভূতি নয়,বাস্তব অভিজ্ঞতা- বিগত ২০০১ খ্রীস্টাব্দে সংঘটিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন এ-র পূর্বের সরকারী প্রশাসন, কোর্ট- কাচারিতে সংঘটিত কার্যক্রমের অনুরূপ প্রতিচ্ছবি।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *