হামাসের হামলায় নিহতের সংখ্যা কমিয়ে আনল ইসরায়েল
![হামাসের রকেট হামলার পর ইসরায়েলের রেহবত শহর থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। ৭ অক্টোবর](https://images.prothomalo.com/prothomalo-bangla%2F2023-11%2F8f1b7008-ea79-4e7b-ba3c-290abdfef03e%2Fprothomalo_Israel.webp?auto=format%2Ccompress&fmt=webp&format=webp&w=640&dpr=1.3)
হামাসের রকেট হামলার পর ইসরায়েলের রেহবত শহর থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। ৭ অক্টোবরছবি: রয়টার্স
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হামলায় নিহতের সংখ্যা কমিয়ে সংশোধনের কথা জানাল ইসরায়েল। দেশটি গতকাল শুক্রবার জানিয়েছে, ৭ অক্টোবরের ওই হামলায় প্রাণ গেছে প্রায় ১ হাজার ২০০ জনের। এর আগে ইসরায়েল সরকার জানিয়েছিল, হামাসের হামলায় ১ হাজার ৪০০–এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিওর হাইয়াত বলেন, ‘হামলার পর তাৎক্ষণিকভাবে অনেক মরদেহ শনাক্ত করা যায়নি। এখন আমরা মনে করছি, এসব মরদেহ সন্ত্রাসীদের, ইসরায়েলিদের নয়। তাই নিহতের সংখ্যা সংশোধন করা হয়েছে।
চলমান সংঘাতের সূত্রপাত গত ৭ অক্টোবর। ওই দিন ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলা চালায় হামাস। এর পরপরই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজা উপত্যকায় এক মাসের বেশি সময় ধরে নির্বিচার হামলা চালানো হচ্ছে। হামলায় ১১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনির প্রাণ গেছে। এর বেশির ভাগই নারী ও শিশু। অবরুদ্ধ গাজায় দেখা দিয়েছে চরম মানবিক সংকট। পাশাপাশি চলছে একের পর এক হামলা। ইসরায়েলি বোমার আঘাত থেকে বিদ্যালয়, হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স, শরণার্থীশিবির—কিছুই বাদ যাচ্ছে না। গাজার তথ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় এক মাসের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলের বিরামহীন হামলায় অর্ধেকের বেশি বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রায় ৪০ হাজার বাড়ি মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। এ পরিস্থিতিতে গাজার উত্তরাঞ্চলে প্রতিদিন চার ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল