রাষ্ট্রদূত শামীম আহসানকে নিয়ে মন্তব্যকারীরা বাস্তবের সুতা ক্রিমি ফেসবুকের অজগর!!
রোমে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত শামীম আহসানকে রোম থেকে কুয়ালালামপুরে বদলী করা হয়েছে। সম্ভবত তার মেয়াদ পূর্ণ হবার অল্প কিছু সময় পূবেই তাকে রোম থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তিনি ২0২০ সালের ২১শে নভেম্বর রোম দূতাবাসে রাষ্ট্রদূত হিসেবে যোগদান করেন ২০২৩ এর ২০শে নভেম্বর তার তিন বছরের মেয়াদ পূর্ণ হবে।
জনাব শামীম আহসান যখন রোমে নিযুক্ত হন তখনে থেকেই ইতালি স্থানীয় আওয়ামী লীগের দখল নিয়ে দুটি বিবাদমান গ্রুপ বিদ্যমান ছিল। এছাড়াও পাসপোর্টের জন্ম তারিখ নাম ঠিকানা সংশোধন জটিলতায় কয়েক হাজার অভিবাসী দূতাবাসের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় ঝুলছিল।
তিনি যোগদানের পর বেশীরভাগ সমস্যারই সমাধান হয়েছে। সমাধান হয়নি আওয়ামী লীগের বিবাদমান দুই গ্রুপের সমস্যা। সমাধান হয়নি পাসেপোর্টের বিশাল ব্যবধানের বয়সের তারতম্য। আর এতেই অনেকের বিরাগ ভাজন হয়েছেন তিনি। তবে তিনি সব সময়ই স্পষ্ট বলে দিয়েছেন কোন রাজনৈতিক সংগঠনকে অনুমোদন দেওয়া আমার কাজ না। আর পাসপোর্ট সংক্রান্ত সমস্যা ঢাকার সিদ্ধান্ত আমার কিছু করার নেই।
আর যারা দূতাবাসে হামলা ভাঙচুর করেছে তারা রাষ্ট্রের শত্রু! তবে তাদের বিরুদ্ধে কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বা হয়েছে সে কথা তিনি বলেন নি।
তার আমলে বেশ কয়েকবার দূতাবাস ও দূতাবাসের অনুষ্ঠানে মারামারি হাতাহাতির মত অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে, হয়ত এ কারনেও তার বদলী হতে পারে।
জনাব শামীম আহসানকে যদি শাস্তিমূলক বদলী করা হতো তাহলে সম্ভবত তাকে জরুরী ভিত্তিতে ঢাকায় তলব করা হতো। উল্টো তাকে মালয়েশিয়া হাই কমিশনের যোগদান করতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ তাকে প্রমোশন দেওয়া হয়েছে। যারা শামীম আহসানের বদলীতে খুশী হয়েছেন, তাদের খুশীর কারন যানা নাই।
এই সুবাদের অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিদায়ী রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান সম্পর্কে অতি আনন্দিত হয়ে যে সকল কু-মন্তব্য করছেন তা নিতান্তই নিজের যোগ্যতা ও পরিচয় বহন করে।
যারা এধরনের মন্তব্য করছেন তাদের অনেককেই ব্যক্তিগতভাবে চিনি, তারা হলেন “বাস্তবের সুতা ক্রিমি আর ফেসবুকের অজগর”।