ডিসেম্বর ১২, ২০২৪

রাষ্ট্রদূতের বিতর্কিত বক্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রবাসীরা


রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূইয়া

সাইদুর রহমান সুমন, বার্লিন থেকে: বাংলাদেশের জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে জার্মানির বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূইয়ার একটি বক্তব্যকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। গত ১৫ আগষ্ট জার্মানির বার্লিনে একটি পাঁচ তারা হোটেলে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়। জার্মানিতে নিযুক্ত সাবেক সচিব ও রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইঁয়া ৪৬ মিনিট বক্তব্য রাখেন। পদ্মা সেঁতুর দূর্নীতি মামলায় কারাবাস করা রাষ্ট্রদূত তার বক্তৃতার এক পর্যায়ে বলেন, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান আসলে স্বাধীনতা ঘোষনা করতে চাননি। রাষ্ট্রদূতের এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে জার্মান প্রবাসীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা জানান, রাষ্ট্রদূত সাধারণত জয় বাংলাও বলেন না বক্তব্যের শেষে। তার এই বক্তব্যকে লুফে নেয় বিএনপি ও জামায়াতের সমর্থকরা। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই বক্তব্য প্রচার করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বহীন বক্তব্যের কারণে জার্মান আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। মারামারির ঘটনা ঘটেছে। আওয়ামীলীগ নেত্রী নূরজাহান খান নূরীর সাথে রাষ্ট্রদূত মারমুখী আচরন করেছেন।

সম্প্রতি সময়ে রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন চেক রিপাবলিক এর রাজধানী প্রাগে ড. ইউনুসের সাথে একটি মিটিং করেছেন বলে ইউরোপ আওয়ামীলীগের বেশ কয়েকটি সুত্র নিশ্চিত করেছে। রাষ্ট্রদূতের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কারণে জার্মান প্রবাসীদের মধ্যে বিতর্কিত ভাবমুর্তি তৈরী হয়েছে এবং বিএনপি জামায়াত থেকে অনুপ্রবেশকারী আওয়ামীলীগের একটি অংশকে রাষ্ট্রদূত বিভিন্ন অবৈধ সুযোগ সুবিধা দিয়ে দলীয় গ্রুপিং সৃষ্টি করে রেখেছেন।

এদের একজন জার্মান আওয়ামীলীগের একাংশের নেতা বশিরুল আলম চোধুরী সাবু। তিনি সাংবাদিকদের হুমকি দিয়ে বলেছেন, রাষ্ট্রদূতের বিতর্কিত বক্তব্য প্রচার না করার জন্য। সাবু মূলত বিএনপি জামায়াতের কর্মীদের দলে ভিড়িয়ে শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা করেন। সাবুর জামায়াত প্রীতির কারণে জার্মান আওয়ামীলীগের সাধারণ নেতা কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। অপেশাদার রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেনকে শীঘ্রই দেশে ফেরত নেয়া উচিত এবং সাবুর মতো আদর্শহীন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা উচিত বলে জার্মান প্রবাসী আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা দাবী তুলেছেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *