যুক্তরাষ্ট্রকে হিজবুল্লাহপ্রধান


ইসরায়েল আগ্রাসন বন্ধ না করলে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়বে

লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান সৈয়দ হাসান নাসরাল্লাহ। গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর আজ শুক্রবার দেওয়া তাঁর প্রথমবারের মতো বক্তৃতা টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়

লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান সৈয়দ হাসান নাসরাল্লাহ। গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর আজ শুক্রবার দেওয়া তাঁর প্রথমবারের মতো বক্তৃতা টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়ছবি: রয়টার্স

লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান সৈয়দ হাসান নাসরাল্লাহ যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, আঞ্চলিক যুদ্ধ ঠেকাতে চাইলে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে। গত ৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর শুক্রবার প্রথমবারের মতো বক্তব্য দিলেন নাসরাল্লাহ।

শুক্রবার সন্ধ্যায় দেশটির টেলিভিশনে সম্প্রচারিত বক্তৃতায় হাসান নাসরাল্লাহ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র গাজায় আগ্রাসন বন্ধ করতে পারে। কারণ, এটা তাদেরই আগ্রাসন। আঞ্চলিক (মধ্যপ্রাচ্যে) কোনো যুদ্ধ যাঁরা ঠেকাতে চান অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই অবিলম্বে গাজায় এই আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে।’

হিজবুল্লাহরপ্রধান বলেন, ‘তোমরা, আমেরিকানরা ভালো করেই জানো, এই অঞ্চলে যুদ্ধ শুরু হলে তোমাদের নৌবহর কাজে আসবে না, আকাশপথে লড়াই করেও সুবিধা করতে পারবে না। আর (যুদ্ধ বাধলে) তোমাদের (ভূরাজনৈতিক) স্বার্থ, সেনা ও নৌবহরকেই এর মূল্য চোকাতে হবে।’  

গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্র ভূমধ্যসাগরের ইসরায়েল উপকূলের কাছাকাছি যুদ্ধবিমানবাহী দুটি রণতরি পাঠিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জোড়া রণতরি মোতায়েনের বিষয়টি উল্লেখ করে হাসান নাসরাল্লাহ আরও বলেন, ‘এসব নিয়ে হিজবুল্লাহ ভীত নয়। অকপটে বলতে চাই, এসব দিয়ে তোমরা আমাদের হুমকি দিচ্ছ, আমরা তোমাদের এসব নৌবহর মোকাবিলায় জোরপ্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।’

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় গাজার শাসক গোষ্ঠী হামাস। সেদিনই ইসরায়েল গাজায় পাল্টা বোমা হামলা শুরু করে। এরপর থেকে লেবানন সীমান্তে গাজার মিত্র ও ইরান–সমর্থিত হিজবুল্লাহর যোদ্ধাদের সঙ্গেও ইসরায়েলি বাহিনীর পাল্টাপাল্টি হামলা চলছে।

বক্তৃতায় হাসান নাসরাল্লাহ বলেন, লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লাহর লড়াই দিন দিন তীব্র হচ্ছে। এ কারণে গাজা উপত্যকায় ও পশ্চিম তীরের অবস্থান থেকে সেনাদের সরিয়ে উত্তরে লেবানন সীমান্তে রাখতে বাধ্য হয়েছে ইসরায়েল। এখানে লড়াই কেমন হবে তা নির্ভর করবে গাজার ওপর।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *