বেনফিকার মাঠে জিতে সেমির স্বপ্ন দেখছে ইন্টার মিলান
বেনফিকা ০: ২ ইন্টার মিলান
ম্যাচের অধিকাংশ পরিসংখ্যানে ইন্টার মিলানের চেয়ে এগিয়েই ছিল বেনফিকা। কিন্তু দিন শেষে কে আর পরিসংখ্যান রাখে, যা মনে রাখে তা হলো গোল। সেই গোল করার আসল কাজটি করে এখন চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্ন দেখছে ইন্টার। কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে বেনফিকার মাঠে স্বাগতিকদের ২-০ গোলে হারিয়েছে ইন্টার।
বেনফিকার মাঠে প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ইন্টারকে এগিয়ে দেন নিকোলা বারেল্লা। পরে ইন্টারের হয়ে পেনাল্টি গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রোমেলু লুকাকু। দ্বিতীয় লেগে নিজেদের মাঠে হার এড়ালে কিংবা ১-০ গোলের হারও ইন্টারকে সেমিফাইনালে নিয়ে যাবে।
এদিন প্রথমার্ধে কোনো দলই নিরঙ্কুশ আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে পারেনি। এমনকি ম্যাচে উত্তাপও ছিল তুলনামূলকভাবে কম। ৪৫ মিনিটে দুই দল মিলিয়ে লক্ষ্যে শটই নিতে পেরেছে একটি। বেনফিকার নেওয়া সেই শটও আলোর মুখ দেখেনি। দুই দলের মাঝে বেনফিকা গুছানো ফুটবল খেলে আক্রমণে গিয়ে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলার চেষ্টা করছিল।
ভালো কিছু আক্রমণ তৈরিও করেছিল স্বাগতিকেরা। কিন্তু দলকে গোল এনে দিতে সেই চেষ্টাগুলো মোটেই যথেষ্ট ছিল না। অন্য দিকে ইন্টার প্রতি-আক্রমণ থেকে বেনফিকাকে চাপে ফেলার চেষ্টা করছিল। কয়েকবার বেনফিকা রক্ষণ ভাঙার প্রয়াসও নেয় তারা। কিন্তু সাফল্য ধরা দিচ্ছিল না তাদেরও। গোলশূন্য ড্রয়েই বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতি থেকে ফিরে ৫১ মিনিটে গোল করে ইন্টারকে এগিয়ে দেন নিকোলো বারেল্লা। আলেসান্দ্রো বাস্তোনির ক্রসে লেগে থাকা মার্কারকে ছিটকে হেডে গোল করে প্রতিপক্ষের মাঠে দলকে এগিয়ে দেন বারল্লো। দ্রুত ম্যাচে ফেরার চেষ্টায় মরিয়া হয়ে আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করে বেনফিকা। এগিয়ে যাওয়ার পর ইন্টারও এ সময় কিছুটা রক্ষণাত্মক কৌশলে চলে যায়। ৫-৩-২ ফরমেশনে তারা এ সময় গোল ঠেকানোকেই পাখির চোখ করে।
ঘরের মাঠে গোল আদায়ে মরিয়া হয়ে আক্রমণের চেষ্টা করা বেনফিাকা বড় ধাক্কা খায় ম্যাচের ৭৭ মিনিটে। হাত দিয়ে বল ঠেকিয়ে ইন্টারকে পেনাল্টিতে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেন জোয়াও মারিও। স্পট কিকে ভুল করেননি কদিন আগে বর্ণবাদের শিকার হওয়া লুকাকু। দলকে ২-০ গোলে এগিয়ে দিয়ে সেমির স্বপ্নে মাতিয়ে তুলেছেন এই বেলজিয়ান স্ট্রাইকার।
এখন সেমিফাইনাল খেলতে হলে আগামী বুধবার রাতে ইন্টারের মাঠে দারুণ কিছু করে দেখাতে হবে বেনফিকাকে।