বাংলাদেশে মিলেছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১


করোনাভাইরাসের অমিক্রন ধরনের উপধরণ জেএন.১

বাংলাদেশে শনাক্ত হয়েছে করোনাভাইরাসের অমিক্রন ধরনের উপধরণ জেএন.১। এখন পর্যন্ত পাঁচজনের নমুনা পরীক্ষায় এ উপধরন শনাক্ত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আইইডিসিআর পরিচালক জানান, শনাক্তদের মধ্যে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরের রোগী আছেন। তবে তাদের মধ্যে কারও দেশের বাইরে থেকে আসার কোনো হিস্ট্রি নেই। তারা দেশেই ছিলেন। তারা প্রত্যেকেই ভালো আছেন। এ নিয়ে উদ্বেগের কিছুই নেই। মাসখানেক আগেই বিশ্ববাসীকে করোনার নতুন এ উপধরনের কথা জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। জেন.১ সংক্রমণ খুব দ্রুতই ছড়িয়ে পড়তে থাকায় এই উপধরনকে আলাদাভাবে “ভ্যারিয়্যান্ট অফ ইন্টারেস্ট” (ভিওআই) শ্রেণিভুক্ত করেছে ডব্লিউএইচও।

সংস্থাটি বলেছে, আপাতত এই উপধরনটি জনস্বাস্থ্যের জন্য কম ঝুঁকিপূর্ণ বলেই প্রমাণ পাওয়া গেছে। আগের উপধরনের চেয়ে এটি বেশি ক্ষতিকারকও নয়। অর্থাৎ, দ্রুত ছড়িয়ে পড়লেও এর লক্ষণে তীব্রতা কম। এদিকে দেশে আবারও করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় দ্রুত টিকা দিতে নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়েছে, দেশব্যাপী করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে ফাইজার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কার্যক্রমের ১ম, ২য় এবং বুস্টার ডোজ (৩য়, ৪র্থ ডোজ) বিতরণ এবং প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। শিগগিরই কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম শুরু করতে হবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ভ্যাকসিন প্রদানের ক্ষেত্রে সম্মুখসারির স্বাস্থ্যকর্মী, ৬০ বছর এবং তদূর্ধ্ব বয়সী জনগোষ্ঠী, দীর্ঘমেয়াদী রোগে আক্রান্ত ১৮ বছর এবং তদূর্ধ্ব বয়সী জনগোষ্ঠী, স্বল্প রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রাপ্ত বয়স্ক (১৮ বছর এবং তদূর্ধ্ব) জনগোষ্ঠী ও গর্ভবতী নারীদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। এর আগে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের প্রকোপের মধ্যে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে মাস্ক পরার পরামর্শ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত ১৩ জানুয়ারি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ পরামর্শ দেয় সংস্থাটি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বিশ্বের বেশ কিছু দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন জেএন.১-এর সংক্রমণ বেড়েছে। এ অবস্থায় উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে যেমন হাসপাতাল, চিকিৎসা কেন্দ্র এবং উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি, যাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম, তাদের সতর্কতা হিসেবে মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হলো। বিজ্ঞপ্তিতে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের চতুর্থ ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। সার্জারি অথবা অন্য কোনো রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে কেবল কোভিড-১৯ লক্ষণ বা উপসর্গ থাকলে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করার পরামর্শ দেয় অধিদপ্তর।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *