দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে পচা ডিম নিক্ষেপ সারা দেশ কারাগারে পরিণত হয়েছে : জেড আই খান
উত্তাল সুপ্রিম কোর্ট বার
বিতর্কিত সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনে ‘নবনির্বাচিত’দের দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে পচা ডিম নিক্ষেপ করা হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থক সাদা প্যানেলের ‘জয়ী’ আইনজীবীদের উদ্দেশে ছোড়া হয় এ ডিম। দুই রাজনৈতিক ধারায় বিভক্ত আইনজীবীদের মাঝে হয়েছে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, হাতাহাতি, সেøাগান-মিছিল। প্রধান বিচারপতির কাছে সাধারণ আইনজীবীদের মনোনীত এডহক কমিটির চিঠি দিয়েছেন। সব মিলিয়ে নতুন করে উত্তাল হয়ে উঠেছে সর্বোচ্চ বিচারাঙ্গন।
এ ছাড়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে মাইক ও ব্যানার কেড়ে নেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। বর্ষীয়ান আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী জেড আই খান পান্না ‘সন্ত্রাসী হামলা’র শিকার হয়েছেন। গতকাল রোববার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে এসব ঘটনা ঘটে।
‘নব নির্বাচিত কমিটি’র দায়িত্ব গ্রহণকে কেন্দ্র সপ্তাহের প্রথম দিন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ছিলো উত্তপ্ত। আওয়ামী লীগ সমর্থক ও বিএনপি সমর্থক আইনজীবী হিসেবে বিভাজিত পেশাজীবী এ সংগঠন ভবন মিছিল-পাল্টা মিছিলে ছিল উত্তাল। ঘটে হাতাহাতি এবং পচা ডিম ছোড়ার ঘটনা। নির্বাচন থেকে বিরত থাকা বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের তুমুল প্রতিবাদ-বিক্ষোভের মাঝেই অডিটোরিয়ামের দরজা বন্ধ করে কড়া পুলিশ প্রহরায় তড়িঘড়ি সম্পন্ন হয়েছে দায়িত্ব হস্তান্তর।
এর আগে সকাল ১১টায় সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ব্যারিস্টার এম. আমীর-উল ইসলামের নেতৃত্বে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে স্মারকলিপি দেন এডহক কমিটির নেতৃবৃন্দ। স্মারকলিপিতে অনির্বাচিত সভাপতি ও সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে কোনো ধরনের সম্পর্ক না রাখার অনুরোধ জানানো হয়। প্রধান বিচারপতিকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়, অনির্বাচিতদের সঙ্গে আপনি (প্রধান বিচারপতি) কোনোভাবেই গ্রহণ করবেন না। স্মারকলিপি হস্তান্তরের পর দুপুর সোয়া ১টার দিকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সুপ্রিম কোর্ট বার।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সাধারণ আইনজীবীদের ব্যানার থেকে মনোনীত এডহক কমিটি সুপ্রিম কোর্ট বার অডিটোরিয়ামে আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানের কর্মসূচি ছিল। একই দিন ছিল গত ১৪-১৫ মার্চ অনুষ্ঠিত বিতর্কিত নির্বাচনে ১৪ পদে জয়ী কমিটির দায়িত্ব হস্তান্তর কর্মসূচি। এডহক কমিটি আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে দুপুর সোয়া ১টার দিকে অডিটোরিয়ামের দিকে যান। গিয়ে দেখেন ভেতর থেকে অডিটোরিয়াম তালাবদ্ধ। কলাপসিবল গেট আটকিয়ে ভেতরের মঞ্চে চলছে আওয়ামী লীগ সমর্থক ‘নবনির্বাচিত কমিটি’র দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠান। ভেতরে প্রবেশ করতে না পেরে অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মহসিন রশিদ অডিটোরিয়ামের সামনেই মতবিনিময় সভা শুরু করেন।
এ সময় আওয়ামী লীগ সমর্থক শতাধিক আইনজীবী সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি ও সম্পাদকের কক্ষের সামনে অবস্থান নেন। তারা বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের বিরুদ্ধে সেøাগান দিতে থাকেন।
অন্যদিকে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরাও সমিতি ভবনের নিচতলায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন ও সম্পাদ প্রার্থী ব্যারিস্টার রূহুল কুদ্দুস কাজলের নেতৃত্বে কয়েকশ’ আইনজীবী বিক্ষোভ করেন। তারা ‘ভোট চোর ভোট চোর’ বলে সেøাগান দেন। অপরদিকে আওয়ামী লীগ সমর্থক শতাধিক আইনজীবী পাল্টা সেøাগান দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পাল্টাপাল্টি সেøাগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে সর্বোচ্চ বিচারাঙ্গন। এর মধ্যেই অডিটোরিয়ামে সম্পন্ন হয়ে যায় সরকারপন্থিদের দায়িত্ব হস্তান্তর পর্ব। তড়িঘড়ি অনুষ্ঠান শেষ করে ‘নবনির্বাচিত’রা ফুলের তোড়াসহ অডিটোরিয়ামের পেছনের দরজা দিয়ে বের হতে উদ্যত হন। তখন বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা সেখানে অবস্থান গ্রহণ করেন। অডিটোরিয়ামের ভেতরে দায়িত্বগ্রহণ কারী আইনজীবীরা কলাপসিবল গেট ফাঁক করে বের হওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তাদের লক্ষ্য করে বিক্ষুব্ধ আইনজীবীদের মধ্য থেকে মুহুর্মূহ পচা ডিম নিক্ষেপ করা হয়। খবর শুনে পাল্টা মিছিলসহ ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীরা। এখানে দুই পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি, হাতাহাতি হয়। আধঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে পাল্টাপাল্টি সেøাগান, মিছিল।
জড়িতদের বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে Ñএডহক কমিটি :
দুপুর ২টার দিকে এডহক কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ মহসিন রশিদ ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম (এলআরএফ) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি বলেন, দুপুর ২টায় আইনজীবীদের সঙ্গে অডিটোরিয়ামে আমাদের মতবিনিময় করার কথা ছিল। কিন্তু তারা ভেতর থেকে তালা মেরে চর দখলের মতো অডিটোরিয়াম দখল করে রাখে। এ অবস্থায় আমরা অডিটোরিয়ামের সামনেই মতবিনিময় করছি। আমাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে আমার এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। সমিতির দয়িত্ব হস্তান্তরের সময় ছিল বিকেল সাড়ে ৩টায়। কিন্তু তারা তড়িঘড়ি করে কয়েকজন সদস্য নিয়ে পোনে ২টায় হঠাৎ করে সাধারণ সভা ও দায়িত্ব হস্তান্তর সম্পন্ন করেন। এমন ঘটনা সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ইতিহাসে কখনোই ঘটেনি। তিনি বলেন, সাধারণ সদস্যদের ডাকা তলবি সভায় আমার নেতৃত্বে এডহক কমিটি গঠিত হয়েছে। এই কমিটি ছাড়া বারে বর্তমানে আর কোনো বৈধ কমিটি নেই।
প্রধান বিচারপতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা চিঠি দিয়েছি। জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেছেন, তিনি এতে ইনভলভ হতে পারেন না। সৃষ্ট সঙ্কট আইনজীবীরাই সমাধান করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কমিটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদল। এসময় কমিটির সিনিয় সদস্য আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, মো: নজরুল ইসলাম, ড. রফিকুল ইসলাম মেহেদী, ড. এম খালেদ আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আমরা সবাই জানি এবং প্রত্যক্ষ করেছি গত ১৫, ১৬ মার্চ ২০২৩ সুপ্রিম কোর্ট বারে কোনো নির্বাচন হয়নি। বারের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ভোটার লিস্ট প্রণয়ন করে আগামী ১৪ ও ১৫ জুন তারিখে একটি অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ এবং বারের সকল সদস্যের কাছে গ্রহণযোগ্য এবং বারের সংবিধানের সমস্ত অনুচ্ছেদ অনুসরণ করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা এবং ওই নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত কমিটির নিকট দায়িত্বভার অর্পণ করাই এ কমিটির প্রথম এবং প্রধান দায়িত্ব। আজকে আমরা প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী মহোদয়ের কাছে চিঠির মাধ্যমে এ অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছি এবং সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতিবৃন্দের কাছেও চিঠি দিয়েছি। এতে আমরা পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছি, বারের সাধারণ আইনজীবীরা আমাদের যে দায়িত্ব দিয়েছেন সেটি প্রতিপালনে আমরা বদ্ধপরিকর। আমরা মনে করি আইনজীবীদের সহযোগিতা পেলে সৃষ্ট সঙ্কট আলাপ-আলোচনা করে নিরসন সম্ভব। সবার সহযোগিতা ও সমর্থন একান্ত কাম্য। আমাদের লক্ষ্যই যদি হয় স্বাধীন, মর্যাদা সম্পন্ন বারের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী একটি স্বাধীন বার সমিতি প্রতিষ্ঠা, তাহলে মতান্তরের কোনো প্রশ্ন নেই।
শাহ আহমদ বাদল বলেন, গত ১৪-১৫ মার্চ নির্বাচনের নামে যা হয়েছে তা হচ্ছে পুলিশি তা-ব। কিছু সংখ্যক আইনজীবীর চরম অসভ্যতা এবং নির্বাচনের নামে বারের ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। পুলিশি তা-বে শুধু বারের সদস্যরাই আহত হননি, বেশ কয়েকজন সাংবাদিক বন্ধুও নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্ট বার এই ধরনের কার্যক্রম কোনো অবস্থাতেই সহ্য করবে না। যদি কেউ এধরনের কর্মকা-ে জড়িয়ে পড়েন, তবে তার বিরুদ্ধে বারের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ৩১ মার্চ বিদায়ী কার্যকরী কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী শূন্যতা পূরণের লক্ষ্যে অনুচ্ছেদ ১৭ (৩) (ধ) অনুযায়ী বারের সদস্যরা নির্ধারিত সংখ্যক আইনজীবীদের স্বাক্ষরে সাবেক সম্পাদক আব্দুন নূর দুলালকে চিঠি দেন। বারের অফিস ২২ মার্চ তা গ্রহণ করে।
প্রসঙ্গত : গত ৩০ মার্চ সমিতির সাধারণ সদস্যদের এক তলবি সভা সিদ্ধান্তে বলা হয়, ১৫-১৬ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ মহসিন রশিদকে আহ্বায়ক এবং আইনজীবী শাহ্ আহমেদ বাদলকে সদস্য সচিব করে সুপ্রিম কোর্ট বারে ১৪ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি গঠন করা হয়। এর আগে গত ১৫ ও ১৬ মার্চ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, পুলিশি হামলা, ভাঙচুর, মামলা, সাংবাদিক নির্যাতনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন। বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেল প্রার্থীরা ভোটাধিকার প্রয়োগ এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে নিবৃত ছিলেন।
সারাদেশ আজ কারাগারে পরিণত হয়েছে Ñজেড আই খান পান্না :
এদিকে সুপ্রিম কোর্ট বারের নবনির্বাচিত কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ চলাকালে ‘আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মীবৃন্দ’র ব্যানারে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হয়রানি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধনের আয়োজন করেন আইনজীবীদের একটি অংশ। সিনিয়র অ্যাডভোকেট ও মানবাধিকারকর্মী জেডআই খান পান্নার নেতৃত্বে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু মানববন্ধন শুরুর আগেই সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন বলে জানান বর্ষীয়ান এ আইনজীবী। তিনি বলেন, অত্যন্ত পরিতাপের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, এই মানববন্ধন শুরুর আগে আমরা সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছি। আমাদের মাইক ও ব্যানার কেড়ে নেয়া হয়েছে।
মানববন্ধনে তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো কালাকানুনের বিরুদ্ধে বিরোধিতা আগেও করেছি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও তাতে হয়রানি করা বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, সংবাদে ভুল আসতে পারে, বক্তব্য ভুল হতে পারে। তাই বলে সাংবাদিককে জেলে ঢুকিয়ে দেবেন? এটা সভ্য দেশে হতে পারে না। এটি বর্বরতম কোনো দেশ নয়। লেখার জন্য রাষ্ট্রদ্রোহী, দেশদ্রোহী বলবেন, এটি ঠিক নয়।
জেড আই খান পান্না বলেন, ২০০৪ সালে র্যাব গঠনের সময় সেটির বিরোধিতা করেছিলাম। র্যাব যারা করেছিল, পরে তারাও সেটির বিরোধিতা করেছে। এ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে মানুষকে নাজেহাল করা হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় সাংবাদিক গ্রেফতারসহ নানা অনাচার দেখতে পাচ্ছি, এগুলো মানতে পারি না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও তাতে কাউকে হয়রানি করা বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারা নিয়ে আপিল বিভাগের রায় বহাল আছে জানিয়ে জেড আই খান পান্না বলেন, রায় অনুযায়ী গ্রেফতার করার তিন ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করা ব্যক্তির নিকটাত্মীয়কে জানাতে হবে। ওনারা তা তো করেন নেই। আপিল বিভাগের বিচারপতিদের কাছে জানতে চাই, এতে কি আদালত অবমাননা হয় না? পুলিশ বলে কি আদালত অবমাননার হাত থেকে রেহাই পাবেন? সুয়োমোটো রুল করেন। পুলিশ অফিসারদের ডেকে জিজ্ঞেস করেন।
তিনি বলেন, যারা আজ মানববন্ধনের মাইক ও ব্যানার ছিনতাই করেছে, তারা গণতন্ত্রের পক্ষে না, মানবাধিকারের পক্ষে না। তারা যে রাজনৈতিক দলেরই হোক, তাদের প্রতি ঘৃণা। সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের কক্ষের সামনে থেকে মাইক ছিনতাই হবে, এটি চিন্তাও করতে পারি না। সারা দেশ আজ কারাগারে পরিণত হয়েছে।