জাপানে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৮
![জাপানে ভূমিকম্পে ধসে পড়েছে এ রকম অনেক ভবন। ১ জানুয়ারি, দেশটির ইশিকাওয়া অঞ্চলের ওয়াজিমা শহর](https://images.prothomalo.com/prothomalo-bangla%2F2024-01%2F147598bb-08b7-446b-9643-02e7bfa6d3fd%2FJapan.webp?rect=0%2C37%2C640%2C360&auto=format%2Ccompress&fmt=webp&format=webp&w=640&dpr=1.3)
জাপানে ভূমিকম্পে ধসে পড়েছে এ রকম অনেক ভবন। ১ জানুয়ারি, দেশটির ইশিকাওয়া অঞ্চলের ওয়াজিমা শহরছবি: রয়টার্স
জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৮ জনে পৌঁছেছে। গতকাল সোমবার, অর্থাৎ নতুন বছরের প্রথম দিন বিকেলে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। গতকাল দেশটিতে এক দিনে ১৫৫টি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।জাপানের আবহাওয়া দপ্তরের তথ্যানুযায়ী, সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পটি রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ছিল। জাপানের মধ্যাঞ্চলে এ ভূমিকম্প হয়। বিচ্ছিন্ন এলাকাগুলোতে ভবন ধসে পড়েছে, রাস্তাঘাট ভেঙে গেছে এবং হাজার হাজার ঘরবাড়ির বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আজ মঙ্গলবার সেসব এলাকায় পৌঁছাতে হিমশিম খাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। ভূমিকম্পের পর জাপানের পশ্চিম উপকূলে সুনামি আঘাত হানে। ১ মিটার বা ৩ দশমিক ৩ ফুটের বেশি উচ্চতার ঢেউ উপকূলে আছড়ে পড়ে। আজ জাপানের আবহাওয়া দপ্তর সুনামির সতর্কতা তুলে নিয়েছে।
তবে ভূমিকম্পে জাপানে বহু ভবন ভেঙে পড়েছে। ফাটল ধরেছে অনেক সড়কে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন অনেক মানুষ। বিদ্যুৎহীন রয়েছে অনেক এলাকা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছে জাপানের ইশিকাওয়া অঞ্চল। ইশিকাওয়া অঞ্চলের ওয়াজিমা শহরের ফায়ার সার্ভিস বলেছে, ভূমিকম্পে অন্তত ৩০টি ভবন ধসে পড়ার খবর মিলেছে। উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছেন হাজারো সেনা, ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও পুলিশ সদস্য। তবে যোগাযোগব্যবস্থা বিপর্যস্ত হওয়ায় উদ্ধারকারীরা সব জায়গায় পৌঁছাতে পারছেন না। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, ‘তল্লাশি আর উদ্ধার তৎপরতা নিয়ে আমাদের সময়ের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হচ্ছে। তবে যত দ্রুত সম্ভব আমরা সবাইকে উদ্ধার করব।’