চীনের সঙ্গে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত আমেরিকা, হুমকি কংগ্রেসম্যানের


মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের প্রভাবশালী সদস্য এবং ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান মাইকেল ম্যাককল ফক্সনিউজকে এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, চীন যদি তাইওয়ানের বিরুদ্ধে হামলা শুরু করে তাহলে আমেরিকা বেইজিংয়ের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে। ম্যাককল তাইওয়ান সফরে আমেরিকার একটি দ্বিদলীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে রয়েছেন। প্রতিনিধিদলটি তিন দিনের সফরে শুক্রবার তাইওয়ান পৌঁছায়। 

ম্যাককল বলেন, যদি কমিউনিস্ট রাষ্ট্র চীন তাইওয়ানে হামলা চালায় তাহলে বিষয়টি নিয়ে অবশ্যই কংগ্রেস এবং আমেরিকার জনগণের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। জনগণ সমর্থন করলে কংগ্রেস সেই অনুযায়ী কাজ করবে।

তাইওয়ানের মাটিতে সেনা মোতায়েনের কথা বললেও যুদ্ধে মার্কিন জনগণের সমর্থনের বিষয়টি কিভাবে নিরূপণ করা হবে তা তিনি পরিষ্কার করে বলেননি। মার্কিন এই কংগ্রেসম্যান অবশ্য বলেন, যুদ্ধ সব সময় সর্বশেষ ব্যবস্থা। মাইকেল ম্যাককল আরো বলেন, চীন যদি তাইওয়ানে হামলা চালায় তাহলে তাইওয়ানে আমেরিকার সেনা মোতায়নের বিষয়ে কংগ্রেস অনুমোদন দিতে মোটেই দেরি করবে না। মার্কিন জনগণ তা সমর্থন করলে কংগ্রেস তা অনুসরণ করবে। 

তাইওয়ানকে চীন নিজের ভূখণ্ড বলে মনে করে এবং আলাদা দেশ হিসেবে তাইওয়ানের সঙ্গে আমেরিকার যোগাযোগ রাখার বিষয়টি বেইজিং ভালো চোখে দেখে না। সম্প্রতি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইন-ওয়েন আমেরিকা সফর করেছেন এবং দেশটির হাউস স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে বৈঠক করেন। এর জবাবে চীন তাইওয়ান প্রণালীতে শনিবার থেকে তিন দিনের যুদ্ধমহড়া শুরু করেছে। এই মহড়াকে তাইওয়ান এবং আমেরিকার জন্য কঠোর হুঁশিয়ারি বার্তা বলে উল্লেখ করেছে বেইজিং।

বেইজিং বারবার যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তাইওয়ানের যোগাযোগের বিরোধিতা করেছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুধবার সতর্ক করেছে যে তাইওয়ান ইস্যুটি হচ্ছে ‘প্রথম লাল রেখা’ যা চীন-মার্কিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে অতিক্রম করা উচিত নয়। ওয়াশিংটন আনুষ্ঠানিকভাবে এক চীন নীতি মেনে চলে, যা দ্বারা তাইওয়ানকে চীনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। একই সময়ে, মার্কিন স্ব-শাসিত দ্বীপের সাথে ঘনিষ্ঠ অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক রাখে এবং অস্ত্র সরবরাহ করে।

ওয়াশিংটন সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তাইওয়ানের প্রতি সামরিক সহায়তা বাড়িয়েছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বীপে তার সৈন্য উপস্থিতি ৩০ থেকে বাড়িয়ে ২শতে নিতে যাচ্ছে। কারণ এটি তাইওয়ানকে দ্বীপটিকে ‘আক্রমণ করা কঠিন’ করে তুলতে চাইছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চাইছে। মার্চের শুরুতে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরও ঘোষণা করেছে যে তারা তাইপেইকে অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিচ্ছে, যার মধ্যে এফ-১৬ ফাইটার জেটের জন্য ৬১৯ মিলিয়ন ডলার মূল্যের যুদ্ধাস্ত্র রয়েছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *