গাজার একটি হাসপাতাল খালি করার নির্দেশ, অন্যথায় পরিণতি ভোগের হুমকি ইসরায়েলি বাহিনীর


ফিলিস্তিনের গাজা শহরের আল-কুদস হাসপাতাল খালি করার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। হাসপাতালের পরিচালক বাশার মুরাদকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় পরিণতি ভোগ করতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

গাজার আল-আহলি আল-আরাবি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে বোমা হামলায় ৪৭১ জন মানুষের প্রাণহানির প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে চলা বিক্ষোভের মধ্যে এবার এ হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

বিদ্যুতের অভাবে আল-কুদস হাসপাতালের সব বিভাগের কার্যক্রম এখন চলছে না। তবে হাসপাতালটিতে প্রায় ১২ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। বিশেষ করে বিমান হামলা চালিয়ে যাদের বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তারা এখানে আশ্রয় নিয়েছেন।

বাশার মুরাদ শুক্রবার ফোনে আল-জাজিরার প্রতিবেদককে বলেন, হাসপাতালটি তাৎক্ষণিক খালি করে দিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী থেকে তিনি ফোন পেয়েছেন। সবাইকে উপত্যকার দক্ষিণে খান ইউনিসে পাঠাতে বলা হয়েছে।

বাশার মুরাদ বলেন, এই এলাকায় হামলা চালানো হবে বলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এই নির্দেশ দিয়েছে।

হাসপাতালের পরিচালক আরও বলেন, ‘জবাবে আমি ইসরায়েলি বাহিনীর ওই ব্যক্তিকে বলেছি, আপনি যদি হাসপাতাল খালি করতে চান তাহলে আমাদের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক বাস ও পরিবহনের ব্যবস্থা করুন। যাতে আমরা এখানে থাকা ১২ হাজার মানুষ ও রোগীদের দক্ষিণে সরিয়ে নিতে পারি। সেখানে আমাদের একটা জায়গা করে দিন।’

বাশার মুরাদ বলেন, ‘এ কথা শুনে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ওই ব্যক্তি চেঁচিয়ে ওঠেন। আমাকে বলেন, যদি তুমি হাসপাতাল খালি না কর তাহলে পরিণতি ভোগ করতে হবে। এ কথা বলে ফোন রেখে দেন।’

আল-কুদস হাসপাতালটি গাজার তেল আল-হাওয়া এলাকায় অবস্থিত। ২০০৯ সালে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হাসপাতালটি পরে পুনর্নির্মাণ করা হয়।

এর আগে ১৪ অক্টোবর স্থানীয় সময় সকাল ছয়টার মধ্যে হাসপাতালটি খালি করতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী নির্দেশ দিয়েছিল বলে ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। তবে এটা সম্ভব নয় বলে তখন সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *