ইরাকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের ঘাঁটিতে হামলা, ইরান–সমর্থিত গোষ্ঠীকে সন্দেহ


ইরাকের আনবার প্রদেশে আল-আসাদ বিমানঘাঁটি।

ইরাকের আনবার প্রদেশে আল-আসাদ বিমানঘাঁটি।ছবি: এএফপি ফাইল ছবি

ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীর একটি ঘাঁটিতে ইরান–সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড গতকাল শনিবার এ হামলার খবর জানিয়েছে। হামলার জন্য ইরান–সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীকে দায়ী করেছে তারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে সেন্টকম লিখেছে, ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলে আল-আসাদ বিমানঘাঁটিতে ইরান–সমর্থিত জঙ্গিরা বেশ কয়েকটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট হামলা চালিয়েছে। গতকাল বাগদাদের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটের দিকে এ হামলা হয় বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিমানঘাঁটির আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ব্যবহার করে বেশির ভাগ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা হয়েছে। বাকিগুলোর আঘাতে ঘাঁটিটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হামলার কারণে ইরাকের এক সেনাসদস্য আহত হয়েছেন। কয়েকজন মার্কিন সেনার মস্তিষ্কে আঘাত লেগেছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।

অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় থেকে ইরাক ও সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও জোট বাহিনী কয়েকটি হামলা চালিয়েছে। জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের সদস্যদের সঙ্গে লড়াই চালাতে ইরাক ও সিরিয়ায় ওই মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট মোতায়েন আছে। এসব হামলার বেশির ভাগেরই দায় স্বীকার করেছে ‘ইসলামিক রেজিসট্যান্স ইন ইরাক’। এটি ইরান–সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর একটি জোট। গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের বিরোধিতা করে জোটটি। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলেছে, তারা হামলাটি চালিয়েছে।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যখন উত্তেজনা বাড়ছে, তখনই মার্কিন জোটের ঘাঁটিতে হামলা হলো। গতকাল দামেস্কে এক হামলায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস-এর পাঁচ সদস্য নিহত হয়েছেন। এ হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে ইরান। এর বদলা নেওয়ারও হুমকি দিয়েছে তারা।

গত সোমবার সন্ধ্যায় ইরান নিজেই ইরাকের উত্তরে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল কুর্দিস্তানে হামলা চালিয়েছে। ইরান বলছে, ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের ব্যবহৃত একটি জায়গায় হামলা চালিয়েছে তারা। ওয়াশিংটনও বিভিন্ন সময়ে হামলা চালিয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্র বলে থাকে, হামলা থেকে আত্মরক্ষার জন্যই এসব হামলা চালায় তারা। পেন্টাগনের তথ্য অনুসারে, অক্টোবরের শেষ থেকে কয়েকটি হামলায় কয়েকজন মার্কিন সেনা হালকা আহত হয়েছেন। ইরাকে আড়াই হাজার এবং সিরিয়ায় ৯০০-এর মতো মার্কিন সেনা মোতায়েন আছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *