শোক সংবাদঃ পোপ ফ্রান্সিস, মমতা ও নম্রতার আলোকবর্তিকা
এম, এ হক
খ্রিস্টান সম্প্রদায় এবং সকল ধর্মের মানুষজন পোপ ফ্রান্সিসের প্রয়াণে শোকাহত, আজ সোমবার ২১ এপ্রিল, ২০২৫ সালের ইস্টারের এই দিনে ৮৮ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। কার্ডিনাল কেভিন ফ্যারেল এমন এক আধ্যাত্মিক নেতার মৃত্যুর ব্যাপারটি নিশ্চিত করেন। পোপ ফ্রান্সিসের জীবন নম্রতা, গভীর সহমর্মিতা এবং প্রান্তিক মানুষের প্রতি অটল প্রতিজ্ঞায় ভরপুর ছিল।
# মৌলিক ভালোবাসা ও সংস্কারের উত্তরাধিকারঃ
আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেসে জন্মগ্রহণকারী হোর্হে মারিও বের্গোলিও রূপে পোপ ফ্রান্সিস তাঁর সরলতা ও যাজকীয় হৃদয় দিয়ে পাপাসির সংজ্ঞা নতুন করে লিখেছিলেন। তিনি ঐতিহ্যবাহী বিলাসবহুল বাসস্থান প্রত্যাখ্যান করে ভ্যাটিকান গেস্টহাউস বেছে নিয়েছিলেন, যেখানে তিনি অতিথি ও কর্মীদের সাথে খাদ্য গ্রহণ করতেন। এটি তাঁর “দরিদ্রদের জন্য দরিদ্র গির্জা” বিশ্বাসেরই প্রতিফলন। ভ্যাটিকানের আর্থিক ব্যবস্থা পুনর্গঠন থেকে শুরু করে সিনোডালিটির উপর গুরুত্বারোপের মাধ্যমে তাঁর শাসনামল সাহসী সংস্কারে ভরপুর ছিল, যা সাধারণ মানুষ ও নারীদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা ও সার্বজনীন ভ্রাতৃত্বের আহ্বান জানিয়ে তিনি মানবতাকে “আমাদের বোন, মাতৃ পৃথিবী”-এর যত্ন নেওয়ার এবং দারিদ্র্য ও সংঘাত থেকে পালিয়ে আসা শরণার্থীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন। তিনি শরণার্থীদের প্রতি অমানবিক নীতির সমালোচনা করে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “এই ভাইবোনদের রক্তের দায় কার?”
# কষ্টের মাঝে এক মেষপালকঃ
যৌবনে একটি ফুসফুস অপসারণের কারণে দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্টের সাথে লড়াই করা পোপ ফ্রান্সিসের নিজের কষ্টই তাঁকে অন্যের ব্যথা বুঝতে সাহায্য করেছিল। জীবনের শেষ দিনগুলোতেও তিনি সংঘাতের মধ্যেই গাজার হলি ফ্যামিলি চার্চে নিয়মিত ফোন করে শোকাহত পিতামাতাদের সান্ত্বনা দিতেন, বলতেন—”প্রভুকে জিজ্ঞাসা করাই স্বাভাবিক, ‘কেন, হে প্রভু?'” খালি সান্ত্বনার বদলে ব্যথার সাথে বসে থাকার এই ক্ষমতা তাঁর এই বিশ্বাসকেই প্রতিফলিত করে যে “গির্জা একটি ফিল্ড হাসপাতাল হওয়া উচিত”।
# শ্রদ্ধাঞ্জলি ও বিতর্কঃ
সামাজিক ন্যায়ের প্রতি প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গির জন্য প্রশংসিত হলেও এলজিবিটিকিউ+ সম্প্রদায়ের প্রতি গির্জার অবস্থান নরম করার জন্য (“আমি বিচার করার কে?”) রক্ষণশীলদের সমালোচনা এবং নারীদের ধর্মযাজক হিসেবে অনুমতি দেয়ার প্রক্রিয়ায় ধীরগতির জন্য প্রগতিশীলদের কাছেও তিনি সমালোচিত হয়েছেন। তবুও তাঁর করুণা এবং মিশনারি গির্জার প্রতি তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। ইরাকে ঐতিহাসিক সফর এবং অ্যাংলিকান ও প্রেসবাইটেরিয়ান নেতাদের সাথে দক্ষিণ সুদানে যৌথ তীর্থযাত্রার মতো বিভেদ দূরীকরণের প্রচেষ্টার জন্য আন্তঃধর্মীয় নেতারা তাঁকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
# বিশ্বাসে প্রোথিত এক আত্মাঃ
তাঁর ইচ্ছানুযায়ী, পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্য অনাড়ম্বরভাবে সম্পন্ন হবে, যা জাগতিক জাঁকজমক প্রতি তাঁর অনীহাকেই প্রকাশ করে। রোমের সান্তা মারিয়া ম্যাজ্জোরে ব্যাসিলিকায় তাঁর সমাধিস্থল ঐতিহ্য থেকে সরে আসা এক প্রতীক, যা কুমারী মেরি ও প্রান্তিক মানুষের প্রতি তাঁর আজীবন সম্পর্কেরই স্বাক্ষর। গির্জা শোক পালন ও কনক্লেভের প্রস্তুতি নিলেও তাঁর উত্তরাধিকার—”ভেড়ার গন্ধ নেওয়া” এবং অসহায়দের সাথে হাঁটার আহ্বান—চিরকাল থাকবে।
প্রভু তাঁকে অনন্ত বিশ্রাম দিন এবং অনন্ত আলো তাঁকে আলোকিত করুন।
ক্ষতবিক্ষত বিশ্বে তাঁর দয়া ও সাহসের উদাহরণ যেন প্রেরণা হয়ে থাকে।
In Mourning:Pope Francis, A Beacon of Compassion and Humility
M.A. Hoque
The global Christian community and people of all faiths grieve the passing of Pope Francis, who died on Easter Monday, April 21, 2025, at the age of 88. His death, announced by Cardinal Kevin Farrell, marks the loss of a spiritual leader whose life was defined by humility, radical empathy, and an unwavering commitment to the marginalized .
# A Legacy of Radical Love and Reform:
Pope Francis, born Jorge Mario Bergoglio in Buenos Aires, Argentina, redefined the papacy through his simplicity and pastoral heart. He rejected the opulence of traditional papal accommodations, choosing instead to reside in the Vatican guesthouse, where he shared meals with visitors and staff—a testament to his belief in a “poor Church, for the poor” . His papacy was marked by bold reforms, from restructuring the Vatican’s financial systems to prioritizing synodality, a collaborative approach to governance that invited laypeople and women into decision-making processes .
His encyclicals *Laudato Si’* and *Fratelli Tutti* challenged humanity to confront climate change and embrace universal fraternity, urging care for “our Sister, Mother Earth” and solidarity with migrants fleeing poverty and conflict . He famously criticized policies that dehumanized refugees, reminding the world, “Who is responsible for the blood of these brothers and sisters?” .
# A Shepherd Amidst Suffering
Pope Francis’s own struggles with chronic respiratory illness—stemming from a lung removed in his youth—deepened his empathy for those in pain. Even during his final months, he continued ministering to others, calling Gaza’s Holy Family Church nightly amid conflict and comforting grieving parents with the words, “It’s OK to ask, ‘Why, Lord?’” . His ability to sit with suffering, rather than offer empty platitudes, exemplified his belief that “the Church must be a field hospital” .
# Tributes and Controversies
While revered for his progressive stance on social justice, Francis faced criticism from conservatives for softening the Church’s tone on LGBTQ+ inclusion (“Who am I to judge?”) and from progressives for not moving swiftly enough on issues like women’s ordination . Yet his vision of a merciful, missionary Church resonated widely. Interfaith leaders praised his efforts to bridge divides, such as his historic visit to Iraq and joint pilgrimage to South Sudan with Anglican and Presbyterian leaders .
# A Farerooted in Faith
In accordance with his wishes, Pope Francis’s funeral rites will emphasize simplicity, reflecting his disdain for worldly pomp. His tomb, planned at Rome’s Basilica of Santa Maria Maggiore, diverges from tradition, symbolizing his lifelong connection to the Virgin Mary and the peripheries . As the Church enters a period of mourning and prepares for a conclave, his legacy—a call to “smell of the sheep” and walk with the vulnerable—will endure .
Eternal rest grant unto him, O Lord, and let perpetual light shine upon him.
May his example of mercy and courage continue to inspire a world in need of healing. 🌍🙏
