জানুয়ারি ১৫, ২০২৫

শুভ্র বাংলাদেশ চাই


জিয়াউল হক

বছর ঘুরে নতুন বছর আসে। এটাই পৃথিবীতে দিনপঞ্জিকা তৈরীর পর হতে সর্বজনীন এক কৃষ্টি।
আমরা বাঙ্গালী আমাদের জাতীয় রাজনীতির জগতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জাতির নিষ্ঠুরতম আচরণের সম্মুখীন হয়েছি।এক এক করে মুঘল,ইংরেজ, পাকিস্তানী জাতির অবৈধ এবং অন্যায় আচরন আমাদেরকে পরাধীন করে রেখেছিলো।১৯৪৭ পূর্ব ভারতবর্ষের ইতিহাস মুঘল এবং ইংরেজদের অত্যাচার, নির্যাতনের স্বীকৃতি প্রদান করেছে।তাও শত শত বছরের অধিকার হরণের নির্মম সকল পর্ব।কিন্তু ১৯৪৭ হতে আমরা ভারত ও পাকিস্তানের উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক কিছু নেতার স্বার্থ হাসিলের চক্রান্তে পুনরায় পরাধীনতার শিকল পড়তে বাধ্য হলাম।ভুলে গেলাম পূর্বের অপশাসকদের খামখেয়ালি আচরন।
৪৭ হতে ৭১, এই ২৩ বছরই মুক্তি চাই মানসিকতায় বাঙ্গালীর স্বাধীন হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি করে। স্বাধীন হওয়ার এ সম্ভাবনা তখনই জাতির বিবেকের কাছে সম্মিলিত দাবি রূপে শক্তিশালী হয়,যখন তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের অপশাসকদের খামখেয়ালি আচরন চূড়ান্ত পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছে। তৎকালীন বাঙ্গালী জাতির রাজনৈতিক নেতাদের মাঝে একটা নামই অধিকাংশ জনগণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলো।তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তর্কাতর্কির উর্ধ্বে তিনিই রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের পথকে আরও বেশী সচল করতে সফল হয়েছিলেন তাঁর সুযোগ্য কর্মদক্ষতা এবং সহকর্মীদের দেশপ্রেমের আদর্শগত চেতনার সুফল হিসাবে।যুদ্ধে মূলতঃ রাজনৈতিক দলের নেতা- কর্মীদের অংশগ্রহন কখনোই কোনো পরাধীন জাতিকে স্বাধীনতা এনে দিতে সক্ষম হয়নি। তাই কোনো একক রাজনৈতিক দলের এরূপ বিবৃতি আমি সরাসরি প্রত্যাখান করছি।তাই তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের সশস্ত্রবাহিনীর বাঙ্গালী অফিসার ও জওয়ানদের ভূমিকাকে আমি প্রধানতম শক্তি হিসেবে স্বীকৃতি দিতে আগ্রহী।এরপর নির্যাতিত বাঙ্গালী পরিবারের ক্ষতিগ্রস্ত সদস্যগণ এবং অবশ্যই বাঙ্গালী জাতির সেই সকল বীর যুবকগন যারা শুধু নিজের বাঙ্গালী চেতনার উন্মেষ প্রকাশ করতেই নিজ জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে সাড়ে নয় মাসের দীর্ঘ এই যুদ্ধকে বাঙ্গালীর অহংকার রূপ দিয়ে ১৬ই ডিসেম্বর পরাধীনতার শিকল মুক্ত করেছিলেন।বহু বাঙ্গালীর জীবন এবং দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত সেই স্বাধীনতাকে ১৯৪৭ এর পর চলমান বছরের ৫ই আগস্ট হতে প্রত্যাখান করার এই যে খামখেয়ালি আচরন চলমান, এই বিষয় এ গুরুত্ব দিতে সমগ্র বাঙ্গালী জাতির বিবেকের কাছে আমি একটা দাবি জানাচ্ছি।
আমি এবং আমরা স্বাধীনতা পরবর্তী প্রজন্ম, জন্মের পর স্বাধীন দেশের নাগরিকরূপে যে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করলাম – তাকে একটি রাজনৈতিক দলের সর্বোচ্চ সময় সরকারে আসীন থাকাকালীন কার্যক্রমের জন্য ভূলুন্ঠিত করা হচ্ছে কি কারনে? স্বৈরাচার, স্বৈরশাসক ও স্বৈরশাসন শব্দগুলো প্রতিনিয়ত শুনেই বড় হয়েছি! হয়তো কোনো সরকারের আমলে কম আর অন্য কারো সময়ে বেশী, খুবই বেশী। এটা কিন্তু বাঙ্গালী মাত্রই স্বীকার করতে হবে। এখন যে সরকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করছেন,তাদের কিছু কার্যকলাপও কিন্তু স্বৈরাচারী মনোভাবের পরিচয় দিতে শুরু করেছে! কেউ আপনারা দুধে ধোঁয়া তুলসী পাতা হতে পারেন নি।
তাই দয়া করে নিজ সংস্কৃতি, ইতিহাস কে লাঞ্চিত করা হতে বিরত থাকতে জাতির বিবেকের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি এবং প্রতিবাদ, প্রতিরোধ যদি করতেই হবে তাহলে বৃহৎ রাষ্ট্রের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার যে ইতিহাস গত ৭১ হতে আজ পর্যন্ত চলমান,যা ভবিষ্যতে আরও অনেক বেশী ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলে আমার মধ্যে উদ্বিগ্নতার জন্ম দিয়েছে- আসুন দেশকে ভালো, দেশের মানুষ কে ভালো রাখতে বিভক্তি বৈষম্য সব দূর করে পুনরায় আরও একটি ৭১ গড়ে তুলি এবং আমার আপনার বাংলাদেশের উপর পরিচালিত কূট চক্রান্তকারী রাষ্ট্রের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সচেতনতা তৈরীতে মনোনিবেশ করি।সঠিক ও ন্যায়নিষ্ঠবান রাজনীতিকগন রাজনীতি করুন,পরিকল্পনা তৈরীতে মনোনিবেশ করুন সুশীল সমাজ কে নিয়ে এবং সর্বোপরি রাষ্ট্রের মধ্যে বিবাদমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় নতুন করে সৃষ্ট এক বেয়াদব সম্প্রদায়কে একেবারে অদৃশ্য করতে নিজ নিজ আত্মার সহিত চুক্তিবদ্ধ হই।।

#সংগীত কে নয় বরং কূটনীতিকে বয়কট করুন। কারন বছরের শুরু এবং শেষের যে প্রচলিত আনন্দ উল্লাসের ধারা আমরা মেনে চলছি, তা যে সংস্কৃতি হতে ধার করেছি- সেই সংস্কৃতির ধারক ইংরেজগন আমাদের পূর্ব পুরুষদের শত শত বছর যাবত নির্যাতন করেছে।এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে, সে সব পেরিয়ে এসেছি অর্ধ শতাব্দী পূর্বেই।তাহলে উত্তরও অবধারিতভাবে এসেই যায় – আপনাকে যে একটা কটু কথাও বলেনি,শুধু আপনার জন্মের পূর্বে আপনার জন্মদাতা পিতা কে সেই চরম অমানবিক নির্যাতন করে হত্যা করে। যা আপনি দেখেননি তাকে নিশ্চয়ই আপনি বর্তমানের পরিকল্পিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের প্রতি শ্রদ্ধা (সমঝোতা স্মারক) যা ভারত বিরোধিতার কারন বলে উল্লেখ করা হচ্ছে – এরূপ পতিতা প্রেম করতেই হবে আমাকে এমন ভন্ড পাগল হইনি এখনো আমি এবং আমরা অনেকেই।

#চুপ করে আছি আমরা, আমরাও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে – তাই বলে পাকিস্তানে গিয়ে উচ্চশিক্ষার আকর্ষণীয় ব্যাখ্যা করাকে সমর্থন করতে ঘৃণা করবো না কেনো?

#কেনো ১৬ই ডিসেম্বর কে মুছে ফেলতে রাজী হতে হবে আমাকে?

এসব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ইস্যু তৈরী করে বৃহৎ কোনো অদৃশ্য স্বার্থ পূরন করে দিচ্ছে না তো নতুন অবয়বে বাঙ্গালী কাঁধে চড়ে বসা স ম ন..?

🌞 🌞


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *