অশুভ শক্তি এখনও তৎপর!!!!

বন্ধু মুয়ীদের পোষ্ট থেকেঃ
বাংলাদেশ এয়ারফোর্সের ভেতর RAW এর শ্যাডো রিক্রুটার হিসেবে কাজ করা স্কোয়াড্রন লিডার আব্দুল্লাহ ইবনে আলতাফের কথা তো আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে। যিনি গত চৌদ্দই আগস্ট ডিজিএফআই এর হাতে এরেস্ট হন। সেসময় তার ব্যক্তিগত গাড়ী থেকে ভারতীয় প্যারাকমান্ডোদের ব্যবহার করা দুটি এফএন-90 এবং সিগ পি-২২৯ রাইফেল এবং নগদ এক কোটি টাকা সহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে কোর্ট মার্শালের মাধ্যমে তার দশ বছরের জেল হয়।
ভারতীয় ইন্টিলিজেন্স এর পক্ষে শ্যাডো এজেন্ট হিসেবে কাজ করায় ‘র’ তাকে একটি ব্র্যান্ড নিউ হুন্দাই গাড়ী এবং নিয়মিত সুন্দরী নারী সাপ্লাই করত।
তবে ইন্টারেস্টিং ফ্যাক্ট হচ্ছে- সম্প্রতি বাংলাদেশ এয়ারফোর্সের আরো ছয় জন উচ্চপদস্থ অফিসারকে বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট সন্দেহে অবসরে পাঠানো হচ্ছে। খুব সম্ভবত ডিজিএফআই এর হাতে আটক থাকাকালীন স্কোয়াড্রন লীডার আব্দুল্লাহ ইবনে আলতাফের দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করেই তাদেরকে আইডেন্টিফাই করা হয়েছে।
এরা হলেন― এয়ার ভাইস মার্শাল এম এ আওয়াল হোসেন, এয়ার ভাইস মার্শাল জাহিদুল সাঈদ, এয়ার কমডোর মোহাম্মদ আমিনুল হক, গ্রূপ ক্যাপ্টেন আব্দুল্লাহ আল ফারুক, গ্রূপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ শামীম ও উইং কমান্ডার সাইয়েদ মোহাম্মদ।
শুধুমাত্র এয়ারফোর্সের ছয়জন অফিসারই নন, পার্মানেন্টলি সাসপেন্ড দেখানো হয়েছে চারজন পুলিশ কর্মকর্তাকেও।
এরা হলো- ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিরপুর ডিভিশনের ডেপুটি কমিশনার জসিম উদ্দিন মোল্লাহ, গুলশান ডিভিশনের এডিশনাল ডেপুটি কমিশনার রফিকুল ইসলাম, যাত্রাবাড়ী জোনের ট্রাফিক এসিস্ট্যান্ট কমিশনার তানজিল আহমেদ ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এর এসিস্ট্যান্ট সুপারইন্টেন্ডেন্ট মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।
এরা সবাই ছাত্র জনতার উপর গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা ও ভারতীয় ইন্টিলিজেন্সের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করেছে। যাদের স্টেশন মাস্টার ছিলেন গুলশান জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার ইফতেখার মাহমুদ (ডিবি)। এই ব্যক্তি ছিলেন RAW এর এজেন্ট স্কোয়াড্রন লিডার আব্দুল্লাহ ইবনে আলতাফের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আর এদের কমান্ডার ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুজিব, যিনি চিহ্নিত ‘র’ এজেন্ট। যাকে ৫ই আগস্ট পরবর্তী সময়ে এরেস্ট করা হলেও কোনো এক শক্তিশালী গোষ্ঠীর ছত্রছায়ায় জেল থেকে উধাও হয়ে যান।
তবে সামগ্রিকভাবে ‘র’ এর এই বিশাল বলয় এখন আন্ডার প্রেশারে। প্রতিটা বাহিনীতেই বিগত পনেরো বছর যাবৎ শ্যাডো বা আন্ডারকাভার এজেন্ট হিসেবে কাজ করা ব্যক্তিদের ডিটেক্ট করে হান্ট ডাউন করা হচ্ছে।
আমরা আমাদের ইন্টিলিজেন্সের উপর ভরসা করছি। আশা করব, দেশকে ভেতর দুর্বল করার জন্য যারা সাবভার্সন চালাচ্ছে, তাদের চক্রান্ত নস্যাৎ করে দেওয়া হবে।